মো. একরামুল হক, স্টাফ রিপোর্টার :
কক্সবাজারের স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্ব পদে ফিরেছেন রমজান আলী। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম এর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি শনিবার দুপুরে স্কুলে পৌঁছলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তবে, তার এধরনের আগমনকে অযুক্তিক, অসাংবিধানিক ও জোরপূর্বক চর দখলের মতো ঘটনা বলে দাবী করেছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।
এইনশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা পক্ষে -বিপক্ষে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে।
রমজান আলী জানান, অনৈতিক ভাবে কয়েকমাস আগে তাঁকে দায়িত্ব থেকে জোরপূর্বক অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। তা চ্যালেন্জ করে তিনি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিলে উচ্চ আদালত তাঁকে স্ব পদে ফিরতে আদেশ প্রদান করে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ কে অব্যহতি প্রদান করেছে।
এঘটনায় দুপুরের পর শিক্ষকরা ও প্রাক্তন ছাত্ররা স্কুল মাঠে জড়ো হয়।বিকালের দিকে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও মাঠে উপস্থিত হয়ে একে অপরের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িতে পরতেও দেখা গেছে।
এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষকরা জানান, দুর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষক রমজান আলী কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িত। তাকে অপসারণ দাবীতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ সহ নানা আন্দোলনে নামেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
শিক্ষকরা আরও বলেন, অপসারিত প্রধান শিক্ষক রমজান আলী শনিবার সকালে হঠাৎ লোকজন নিয়ে স্কুলে এসে তালা ভেঙ্গে অফিস কক্ষ দখলে নেয়।
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে না এসে জোরপূর্বক চর দখলের মতো তালা ভেঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নুর মোহাম্মদের অফিস দখল ও স্কুলের গেইট, রুম তালা লাগিয়ে দেয়।
অবশ্য শনিবার স্কুল বন্ধ ছিল। এই সুযোগে রমজান আলী এধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।
তালা ভেঙ্গে অফিস দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেস্টা করা সহ অবৈধ ভাবে
তার এধরনের আগমনকে অযুক্তিক, অসাংবিধানিক ও জোরপূর্বক চর দখলের মতো ঘটনা বলে দাবী করেছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।