
সাইফুল ইসলাম সাইফ, চকরিয়া।।
শুষ্ক মৌসুমে নিজেদের তৈরি বাঁশের সাঁকো আর বর্ষায় নৌকাই ভরসা। যা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাড়ি দিতে হয় ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা ভোগ করতে হয় রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষকের।
স্থানীয়দের দাবী একটি সেঁতু নির্মাণের। তবে বারবার আবেদন করেও আশ্বাস ছাড়া কোন সমাধানই মিলেনি।
অবশেষে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
চকরিয়া উপজেলা বদরখালী ইউনিয়নের খালকাচা পাড়ার ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বড়খাল। খাল পাড়ি দেয়ার এমন চ্যালেঞ্জ নিত্য দিনের। সঙ্গী ভোগান্তি, দুর্ভোগ আর দূর্ঘটনা। এভাবে দু’পাড়ে মানুষ জীবন চলছে বছরের পর বছর।
বদরখালী ইউনিয়নের বুকচিরে বয়ে গেছে বড়খালটি। দু’পাড়ের খালকাচা পাড়া, আশরাফ নগরসহ ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। তাও সেটি নড়বড়ে ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বর্ষা এলে বাড়ে দুর্ভোগ। ঝড়-বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের ।
ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা জানায়, শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষায় নৌকাই ভরসা। অনেক সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। বর্ষায় নৌকা ডুবির ঘটনাও অহরহ ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, সাঁকোর পূর্ব পাড়ে চাষী জমি, লবণ মাঠ, মাঠের ঘের ও বসতি।
পশ্চিমপাড়ে ডজনাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজার। শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো ও বর্ষায় নৌকা ছাড়া খাল পারাপারের বিকল্প নেই। অন্যতায় ঘুরতে হয় কয়েক কিলোমিটার পথ। বাঁশের সাঁকোর ওপর তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পাশের হাট-বাজারে নিতে পারেন না।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানিয়েছেন,সাঁকোর বাঁশ নষ্ট হলে এলাকার লোকজনই নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে। জনগণ ও স্থান সরেজমিনে পরির্দশন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আসছে বর্ষা, বাড়ছে আতংক। এই সেতু নির্মাণের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।