০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার, ঘাতক আটক

 স্টাফ করেসপনডেন্ট, সিবিসি নিউজ।। 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার পর প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলাম (৪৮)। এ সময় গুরুতর আহত হন জেঠাতো ভাই খায়রুল আলম (৪০) নামের আরও একজন। আহতকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের হাছিমার কাটাস্থ সিকদার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আরিফুল ইসলাম সিকদার পাড়ার আলতাফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র এবং তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। আহত জেঠাতো ভাই খায়রুল আলমের বাবার নাম জামাল হোসেন চৌধুরী।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- সিকদার পরিবারের ভূ-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একান্নবর্তী পরিবারের ওয়ারিশদের মধ্যে। এনিয়ে প্রতিনিয়তই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো পরিবারগুলোতে। তারই ধারাবাহিকতায় জায়গা নিয়ে সকাল থেকে চরম উত্তেজনার মধ্যে প্রতিপক্ষ রাজু মিয়া বৈদ্যের ছেলে সুজন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আরিফুল ইসলাম।

এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাত করা হয় জেঠাতো ভাই খায়রুলকেও। এতে সেও গুরুতর আহত হন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যান জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতকারী সুজন মিয়া। তবে তাকে ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই বাড়ি ঘিরে রাখে। কিছুক্ষণ পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এই তথ্য জানিয়েছে চকরিয়া থানার পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) রিদুয়ানুল হক জানান- জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি তাত্ক্ষণিকভাবে চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের মরদেহ জিম্মায় নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

 

জনপ্রিয়

নান্দাইল পুলিশের তৎপরতা এবং একটি ‘মিসটেক’

চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার, ঘাতক আটক

০৩:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
 স্টাফ করেসপনডেন্ট, সিবিসি নিউজ।। 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার পর প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলাম (৪৮)। এ সময় গুরুতর আহত হন জেঠাতো ভাই খায়রুল আলম (৪০) নামের আরও একজন। আহতকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের হাছিমার কাটাস্থ সিকদার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আরিফুল ইসলাম সিকদার পাড়ার আলতাফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র এবং তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। আহত জেঠাতো ভাই খায়রুল আলমের বাবার নাম জামাল হোসেন চৌধুরী।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- সিকদার পরিবারের ভূ-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একান্নবর্তী পরিবারের ওয়ারিশদের মধ্যে। এনিয়ে প্রতিনিয়তই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো পরিবারগুলোতে। তারই ধারাবাহিকতায় জায়গা নিয়ে সকাল থেকে চরম উত্তেজনার মধ্যে প্রতিপক্ষ রাজু মিয়া বৈদ্যের ছেলে সুজন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আরিফুল ইসলাম।

এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাত করা হয় জেঠাতো ভাই খায়রুলকেও। এতে সেও গুরুতর আহত হন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যান জামায়াত নেতা আরিফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতকারী সুজন মিয়া। তবে তাকে ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই বাড়ি ঘিরে রাখে। কিছুক্ষণ পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এই তথ্য জানিয়েছে চকরিয়া থানার পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) রিদুয়ানুল হক জানান- জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি তাত্ক্ষণিকভাবে চকরিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের মরদেহ জিম্মায় নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’