০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারে উলু ধ্বনি, শঙ্খের তালে তালে লক্ষাধিক ভক্তদের উৎসব মুখর রথযাত্রা

শাহনেওয়াজ চৌধুরী শাফিন, স্টাফ রিপোর্টার।। 

উলু ধ্বনি আর শঙ্খের তালে তালে কক্সবাজার শহরের রাজপথে নামে সনাতন ধর্মালম্বী লক্ষাধিক মানুষ।
শুক্রবার বিকেলে পর্যটন শহরের গোলদীঘির পাড় থেকে মুখরিত পরিবেশে শুরু হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ‘রথযাত্রা’। রথ ঘুরেছে পুরো প্রধান সড়কজুড়ে, যা ভরে উঠেছে ধর্মীয় ভক্তি আর উৎসবের রঙে।

এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে ভরে যায় গোলদীঘির পাড় এবং আশপাশের এলাকা। রথ টানতে ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই অংশ নেয় এই মহাউৎসবে। অনেকে মনে করেন, রথ টানলে পুণ্য লাভ হয়।
ঢাক-ঢোল, কীর্তন, পূজা আর মঙ্গল প্রদীপে রথযাত্রা পরিণত হয় এক আনন্দ মেলায়।
রথযাত্রাটি যখন শহরের হলিডে এর মোড় পার হয়ে পর্যটন হোটেল শৈবালের সম্মুখে আসে তখন বাগড়া দেয় বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টিতে উৎসব আনন্দে ভাটা পড়েনি। লক্ষাধিক ভক্ত রথের দড়ি টেনে নিয়ে যান ঘোনারপাড়া পর্যন্ত।
সনাতন ধর্মালম্বীরা জানান, এই রথ টানা মানেই পুণ্যলাভ।
সমুদ্র আর ধর্মীয় উৎসব—দুটি মিলে এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম দেয় কক্সবাজারে।  জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার এই রথযাত্রা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যেমন উৎসবের, তেমনি কৌতূহলী পর্যটকদের জন্যও এটি এক বিশেষ আকর্ষণ। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রথযাত্রা উপলক্ষে শহরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর আনন্দের মেলবন্ধনে কক্সবাজারের রথযাত্রা রূপ নেয় এক মহামিলন মেলায়।
এক সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব শেষ হবে উল্টো রথযাত্রার মাধ্যমে।

 

 

জনপ্রিয়

নান্দাইল পুলিশের তৎপরতা এবং একটি ‘মিসটেক’

কক্সবাজারে উলু ধ্বনি, শঙ্খের তালে তালে লক্ষাধিক ভক্তদের উৎসব মুখর রথযাত্রা

০১:০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

শাহনেওয়াজ চৌধুরী শাফিন, স্টাফ রিপোর্টার।। 

উলু ধ্বনি আর শঙ্খের তালে তালে কক্সবাজার শহরের রাজপথে নামে সনাতন ধর্মালম্বী লক্ষাধিক মানুষ।
শুক্রবার বিকেলে পর্যটন শহরের গোলদীঘির পাড় থেকে মুখরিত পরিবেশে শুরু হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ‘রথযাত্রা’। রথ ঘুরেছে পুরো প্রধান সড়কজুড়ে, যা ভরে উঠেছে ধর্মীয় ভক্তি আর উৎসবের রঙে।

এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে ভরে যায় গোলদীঘির পাড় এবং আশপাশের এলাকা। রথ টানতে ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই অংশ নেয় এই মহাউৎসবে। অনেকে মনে করেন, রথ টানলে পুণ্য লাভ হয়।
ঢাক-ঢোল, কীর্তন, পূজা আর মঙ্গল প্রদীপে রথযাত্রা পরিণত হয় এক আনন্দ মেলায়।
রথযাত্রাটি যখন শহরের হলিডে এর মোড় পার হয়ে পর্যটন হোটেল শৈবালের সম্মুখে আসে তখন বাগড়া দেয় বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টিতে উৎসব আনন্দে ভাটা পড়েনি। লক্ষাধিক ভক্ত রথের দড়ি টেনে নিয়ে যান ঘোনারপাড়া পর্যন্ত।
সনাতন ধর্মালম্বীরা জানান, এই রথ টানা মানেই পুণ্যলাভ।
সমুদ্র আর ধর্মীয় উৎসব—দুটি মিলে এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম দেয় কক্সবাজারে।  জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার এই রথযাত্রা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যেমন উৎসবের, তেমনি কৌতূহলী পর্যটকদের জন্যও এটি এক বিশেষ আকর্ষণ। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রথযাত্রা উপলক্ষে শহরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর আনন্দের মেলবন্ধনে কক্সবাজারের রথযাত্রা রূপ নেয় এক মহামিলন মেলায়।
এক সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব শেষ হবে উল্টো রথযাত্রার মাধ্যমে।