
শাহজাহান চৌধুরী শাহীন।।
২৪ এ “স্বৈরাচার বিরোধী গণবিপ্লবে বীর সন্তান শহীদ নুরুল আমিন ও শহীদ নুর মোস্তাফার কবর জিয়ারত করলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন শাহীন। শহীদদের স্মরণে এই সফর যেন হয়ে উঠেছে শ্রদ্ধা, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার এক অনন্য প্রকাশ।”
“বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ এলাকায় শহীদ নুরুল আমিনের কবর জিয়ারত করেন পুলিশ সুপার। পরে তিনি পশ্চিম গজালিয়া এলাকায় যান শহীদ নুর মোস্তাফার কবর জিয়ারতে। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার, ঈদগাঁও থানার ওসি মছিউর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
“শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করেন পুলিশ সুপার। আবেগঘন মুহূর্তে পরিবারগুলো জানান, দীর্ঘদিন পর তারা অনুভব করছেন রাষ্ট্র তাদের ত্যাগকে স্মরণ করছে।”
পুলিশ সুপার বলেন, “নুরুল আমিন চট্টগ্রামের পাচলাইশ এলাকায় শহীদ হন। অনেক চেষ্টার পর সেই মামলাটি আমরা রেকর্ড করাতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই।”
“নুরুল আমিন শহীদ হয়েছিলেন ২৪ এর গণবিপ্লবের সময় চট্টগ্রামে। প্রায় এক বছর পর চট্টগ্রামের পাঁশলাইশ থানায় মামলা রেকর্ড হয় পুলিশের সহায়তায়। পুলিশ সুপার জানান, ভিন্ন জেলায় শহীদ হওয়ার পর মামলা রেকর্ড করানোর এটাই দেশের প্রথম নজির।
এটা বাংলাদেশের প্রথম মামলা আমি শুরু করেছি। আশা করি সারা বাংলাদেশে এই নিয়ম অনুযায়ী মামলাগুলো হবে।
স্থানীয়রা বলেন, অনেক দিন কেউ আসেনি। আজ পুলিশ সুপার এসে শুধু শ্রদ্ধা জানাননি, আমাদের সম্মানও ফিরিয়ে দিয়েছেন।
“শহীদ পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতা জানান এই উদ্যোগের জন্য।
এলাকাবাসীর দাবি, এভাবে ইতিহাসের শহীদদের স্মরণ ও সম্মান জানালে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে দেশের জন্য ত্যাগে।
“শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই শেষ হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশের এই সফর।
এই উদ্যোগ যেন হয় সারা দেশের জন্য একটি উদাহরণ, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।