১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

হোয়াইক্যং বাজার থেকে নবী হোসেন ডাকাত বাহিনীর দুই সদস্য আটক: সামরিক ইউনিফর্ম ও মালামাল উদ্ধার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন।।

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী হোসেন ডাকাত বাহিনীর দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ১৫ জুলাই (সোমবার) বিকালে সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং টেকনাফ থানা পুলিশের একটি সমন্বিত দল এ অভিযান চালায় ।

আটককৃতরা হলেন—রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮ ইস্টের বাসিন্দা ইমন (২৫) এবং ক্যাম্প ১৭ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস।

অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—সেনা ও পুলিশের আদলে তৈরি ইউনিফর্মের শার্ট ৬টি, প্যান্ট ২০টি, চাল ২০০ কেজি, ডাল ১০০ কেজি, একটি ১২ ভোল্ট ব্যাটারি এবং দুইটি ১৫০ ওয়াটের সোলার প্যানেল।

অভিযান-সংশ্লিষ্ট একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এসব দ্রব্য নবী হোসেন বাহিনীর টেকনাফ সীমান্তবর্তী দুর্গম দ্বীপ অঞ্চলে স্থাপিত নিজস্ব আস্তানায় নেওয়া হচ্ছিল। অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনী এসব দ্রব্য জব্দ করে এবং দুইজনকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তারা সামরিক স্টাইলের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ছদ্মবেশে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গা জনগণ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের মতে, নবী হোসেন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলজুড়ে অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তরুণদের টার্গেট করে দলে ভেড়াচ্ছে এবং সীমান্তবর্তী দ্বীপ ও জঙ্গল এলাকাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।

টেকনাফ থানার এক কর্মকর্তা জানান, “এই অভিযানে প্রমাণ হয়েছে, নবী হোসেন বাহিনী তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আমরা কঠোর নজরদারিতে আছি এবং আরও বড় পরিসরে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বলছেন, যদি দ্রুত এই বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দমন না করা হয়, তাহলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয়

মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অসদাচরণের বিষয়ে পুলিশের ‘দুঃখ প্রকাশ’

হোয়াইক্যং বাজার থেকে নবী হোসেন ডাকাত বাহিনীর দুই সদস্য আটক: সামরিক ইউনিফর্ম ও মালামাল উদ্ধার

০৯:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন।।

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী হোসেন ডাকাত বাহিনীর দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ১৫ জুলাই (সোমবার) বিকালে সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং টেকনাফ থানা পুলিশের একটি সমন্বিত দল এ অভিযান চালায় ।

আটককৃতরা হলেন—রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮ ইস্টের বাসিন্দা ইমন (২৫) এবং ক্যাম্প ১৭ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস।

অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—সেনা ও পুলিশের আদলে তৈরি ইউনিফর্মের শার্ট ৬টি, প্যান্ট ২০টি, চাল ২০০ কেজি, ডাল ১০০ কেজি, একটি ১২ ভোল্ট ব্যাটারি এবং দুইটি ১৫০ ওয়াটের সোলার প্যানেল।

অভিযান-সংশ্লিষ্ট একাধিক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এসব দ্রব্য নবী হোসেন বাহিনীর টেকনাফ সীমান্তবর্তী দুর্গম দ্বীপ অঞ্চলে স্থাপিত নিজস্ব আস্তানায় নেওয়া হচ্ছিল। অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনী এসব দ্রব্য জব্দ করে এবং দুইজনকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তারা সামরিক স্টাইলের ইউনিফর্ম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ছদ্মবেশে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গা জনগণ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রের মতে, নবী হোসেন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলজুড়ে অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তরুণদের টার্গেট করে দলে ভেড়াচ্ছে এবং সীমান্তবর্তী দ্বীপ ও জঙ্গল এলাকাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।

টেকনাফ থানার এক কর্মকর্তা জানান, “এই অভিযানে প্রমাণ হয়েছে, নবী হোসেন বাহিনী তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আমরা কঠোর নজরদারিতে আছি এবং আরও বড় পরিসরে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বলছেন, যদি দ্রুত এই বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দমন না করা হয়, তাহলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।