কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবার নামে যে অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগ চলমান রয়েছে, তা বর্ণনাতীত। দিনের পর দিন অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ, ঘনঘন লোডশেডিং, লাইনের ভোল্টেজ ওঠানামা এবং দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা আজ চরমভাবে ব্যাহত।
ঈদগাঁও উপজেলার,ইসলামপুর,জালালাবাদ,ইসলামাবাদ, ঈদগাহ, পোকখালী এবং ঐতিহাসিক খুটাখালী ইউনিয়ন,চৌফলদন্ডী,ঈদগড়সহ সর্বত্রই একই অবস্থা। প্রায় প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি মসজিদ-মাদ্রাসাও বিদ্যুৎ সংকটে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না, অনলাইনের জগতে তারা পিছিয়ে পড়ছে। কৃষকের সেচকাজ বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। দোকানদাররা ক্ষতির মুখে পড়ছেন, আর গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি বারবার নষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত বা কম ভোল্টেজের কারণে।
অভিযোগ রয়েছে, ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যায় না সময়মতো। অনেকে ফোন করলেও রিসিভ করা হয় না, আবার কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয় দায়ভার। অনেক সময় অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও কোনো কার্যকর সেবা মেলে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বজ্ঞান ও জবাবদিহির চরম অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
সচেতন এলাকাবাসী মনে করেন, এই বিদ্যুৎসেবা যেন একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মানুষের সহ্যক্ষমতার সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তখনই বাস্তব হবে, যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎসেবা পাবে।
ঈদগাঁও উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক নজরদারি ও জনদুর্ভোগ কমাতে স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করাই সময়ের দাবি।