০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজার সৈকতে ভ্রাম্যমান হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ পর্যটকরা

module:1facing:0; ?hw-remosaic: 0; ?touch: (-1.0, -1.0); ?modeInfo: ; ?sceneMode: Auto; ?cct_value: 0; ?AI_Scene: (-1, -1); ?aec_lux: 0.0; ?hist255: 0.0; ?hist252~255: 0.0; ?hist0~15: 0.0; ?module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

সিবিসি নিউজ রিপোর্ট ।।

বাদাম লাগবে বাদাম? পানি পানি পানি? কপি কপি কপি খাবে? ঝিনুকের মালা কিনবেন? ভাই ডিম খাবেন? গান শুনবেন? মাথা ম্যাসাজ করবেন? সিগারেট-চা? কলা খাবেন? ঝাল মুড়ি খাবেন? মিষ্টি পান আছে ভাই খাবেন, ছবি তুলবেন-এ ধরনের নানা প্রশ্নে হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকরা।

সিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার একরামুল হক ২২শে এপ্রিল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাসান উল্লাহর কিটকট ছাতা চেয়ারে বসেন ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটে ২৩ জন বিভিন্ন হকারকে জবাব দিতে হয়। ১০ মিনিট কিটকট চেয়ার বসে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এই সাংবাদিক একরামুল হক নয় শুধু, ছাতা চেয়ারে বসা পর্যটক কাছে কিছুক্ষণ পরপর হকারদের এমন প্রশ্নের বারবার সম্মুখিন হয়ে পর্যটকরা পড়ছে চরম বিড়ম্বনায়। কোথাও মিলছে না স্বস্তি। শান্তির পরিবেশে বসাও দায় হয়ে উঠেছে সৈকতে।

হকারদের বেপরোয়া দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। নাগরিক যান্ত্রিকতার চাপ ছেড়ে একটু স্বস্তি ও একান্তে সময় কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসেও পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে মারাত্মক অস্বস্তিতে।

কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, সীগাল, কলাতলি পয়েন্টে প্রবেশ মুখে পর্যটকরা প্রথমে ফটোগ্রাফারদের হাতে হয়রানির শিকার হন। কয়েকশ’ ফটোগ্রাফার ক্যামেরা হাতে সাগর পাড়ের লাবনী পয়েন্ট, সি গাল পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকেন।

কোনো পর্যটক আসলেই তাদের ঘিরে ধরে ছবি তোলার জন্য রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করে। এ সব ফটোগ্রাফারের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বালিয়াড়িতে নামলেই শুরু হয় নানা ধরনের হকারদের যন্ত্রণা।

সৈকতে নামার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় ভিক্ষুক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য। সুযোগ বুঝে পর্যটকদের মালামালও চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এই হকাররা।

সৈকতে এসব ভ্রাম্যমাণ হকার ও গান এবং মাথা ম্যাসাজের নামে তাদের উৎপাতের কারণে পর্যটকরা অতিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, আসলেই তাদের দমন করা যাচ্ছে না। আমরা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে দমন করলে অন্যদিকে নেমে পড়ে সৈকতে। তাদের কারণে পর্যটকেরা অতিষ্ঠ। অনেক সময় এসব হকারেরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। পর্যটকের মালামালও হাতিয়ে নেয় সুযোগ বুঝে।

তিনি আরও বলেন, তাদের দমন করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের হকার বিড়ম্বনা দমনে আরো উদ্যোগী হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়া সিদ্ধ ডিম, চা, সিগারেট, চিপস, পান, কলা, ডাব, বাদাম, ঝালমুড়ি, ঝিনুক-শামুক ও নকল মুক্তাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কেনার জন্য জোরাজুরি করে হকাররা পর্যটকদের বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছে। সৈকতজুড়ে শত শত ভ্রাম্যমাণ হকার ও ফেরিওয়ালার কারণে পর্যটকদের মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এব্যাপারে যথাযত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের।

জনপ্রিয়

এখন থেকে এনসিপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছি : নীলা ইস্রাফিল

কক্সবাজার সৈকতে ভ্রাম্যমান হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ পর্যটকরা

১০:৪০:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সিবিসি নিউজ রিপোর্ট ।।

বাদাম লাগবে বাদাম? পানি পানি পানি? কপি কপি কপি খাবে? ঝিনুকের মালা কিনবেন? ভাই ডিম খাবেন? গান শুনবেন? মাথা ম্যাসাজ করবেন? সিগারেট-চা? কলা খাবেন? ঝাল মুড়ি খাবেন? মিষ্টি পান আছে ভাই খাবেন, ছবি তুলবেন-এ ধরনের নানা প্রশ্নে হকারদের উৎপাতে অতিষ্ঠ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকরা।

সিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার একরামুল হক ২২শে এপ্রিল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাসান উল্লাহর কিটকট ছাতা চেয়ারে বসেন ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটে ২৩ জন বিভিন্ন হকারকে জবাব দিতে হয়। ১০ মিনিট কিটকট চেয়ার বসে তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এই সাংবাদিক একরামুল হক নয় শুধু, ছাতা চেয়ারে বসা পর্যটক কাছে কিছুক্ষণ পরপর হকারদের এমন প্রশ্নের বারবার সম্মুখিন হয়ে পর্যটকরা পড়ছে চরম বিড়ম্বনায়। কোথাও মিলছে না স্বস্তি। শান্তির পরিবেশে বসাও দায় হয়ে উঠেছে সৈকতে।

হকারদের বেপরোয়া দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। নাগরিক যান্ত্রিকতার চাপ ছেড়ে একটু স্বস্তি ও একান্তে সময় কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসেও পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে মারাত্মক অস্বস্তিতে।

কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, সীগাল, কলাতলি পয়েন্টে প্রবেশ মুখে পর্যটকরা প্রথমে ফটোগ্রাফারদের হাতে হয়রানির শিকার হন। কয়েকশ’ ফটোগ্রাফার ক্যামেরা হাতে সাগর পাড়ের লাবনী পয়েন্ট, সি গাল পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকেন।

কোনো পর্যটক আসলেই তাদের ঘিরে ধরে ছবি তোলার জন্য রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করে। এ সব ফটোগ্রাফারের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বালিয়াড়িতে নামলেই শুরু হয় নানা ধরনের হকারদের যন্ত্রণা।

সৈকতে নামার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় ভিক্ষুক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য। সুযোগ বুঝে পর্যটকদের মালামালও চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এই হকাররা।

সৈকতে এসব ভ্রাম্যমাণ হকার ও গান এবং মাথা ম্যাসাজের নামে তাদের উৎপাতের কারণে পর্যটকরা অতিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, আসলেই তাদের দমন করা যাচ্ছে না। আমরা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে দমন করলে অন্যদিকে নেমে পড়ে সৈকতে। তাদের কারণে পর্যটকেরা অতিষ্ঠ। অনেক সময় এসব হকারেরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। পর্যটকের মালামালও হাতিয়ে নেয় সুযোগ বুঝে।

তিনি আরও বলেন, তাদের দমন করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের হকার বিড়ম্বনা দমনে আরো উদ্যোগী হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়া সিদ্ধ ডিম, চা, সিগারেট, চিপস, পান, কলা, ডাব, বাদাম, ঝালমুড়ি, ঝিনুক-শামুক ও নকল মুক্তাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কেনার জন্য জোরাজুরি করে হকাররা পর্যটকদের বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছে। সৈকতজুড়ে শত শত ভ্রাম্যমাণ হকার ও ফেরিওয়ালার কারণে পর্যটকদের মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এব্যাপারে যথাযত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী সংশ্লিষ্টদের।