
তাহসিন মেহেরাব শাওন,চীফ রিপোর্টারঃ
-‘মুদ্রিত এক কপি উপহার দিতে চান ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনকে’
ইচ্ছাশক্তি আর ঈমান যদি অটুট থাকে, তবে জীবনের শেষ প্রান্তেও মানুষ ইতিহাস গড়তে পারে। এমনই এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জনাব আব্দুল হালিম হুজুর।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই বর্ষীয়ান আলেম নিজ হাতে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ লিখে শেষ করেছেন। কেবল কাগজে কলমে নয়, প্রতিটি আয়াতে তিনি ঢেলে দিয়েছেন তাঁর মেধা, মন, ও ঈমানের গভীরতা। ক্লান্ত দেহ, দুর্বল দৃষ্টি, ধীরে চলা হাত — কিছুই থামাতে পারেনি এই আত্মিক সাধনা।
বয়স তার আশি ছুই ছুই। তবুও এক ভিন্ন ধর্মী স্বপ্ন ও সাহসীকতা নিয়ে পথ চলা তার। ২ মাস ১৮ দিনের প্রচেষ্টায় নিজ হাতে লিখেছেন ৩০ পারার পবিত্র কোরআন শরিফ। শুধু তাই নই এ বয়সে এসেও তার নিজ হাতে তৈরি করা আরবি ক্যালোগ্রাফি যেন প্রমাণ করে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র।
বলা হচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চান্দুরপাড়া এলাকার ৭৮ বছর বয়সী বয়-বৃদ্ধ আব্দুল হালিমের কথা। যার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সাহসিকতায় শেষ বয়সে এসেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভিন্নভাবে।
আব্দুল হালিম জানান, তার পূর্ব পুরুষের হাতে লিখা একটি কোরআন শরিফ সংরক্ষণ করেছিলেন তারা। তবে দুর্ভাগ্যবসত ১৯৬৫ সালের কালবৈশাখী ঝড়ে এ কোরআনটি হারিয়ে ফেলে আব্দুল হালিমের পরিবার। তখন থেকে তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন তিনিও লিখবেন পবিত্র কোরআন শরিফের ত্রিশ পারা।
আর সেই প্রতিজ্ঞায় নিজেকে অটুট রেখে বৃদ্ধ বয়সেই নিজ হাতে কোরআন লিখে এক নজির স্থাপন করেছেন আব্দুল হালিম।
যার প্রথম অনুলিপি তিনি উপহার হিসেবে দিতে চান বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনকে।
শুধু তাই নই তার বাসভবনের দেয়ালে টাঙানো রয়েছে নানান রঙবেরঙের আরবি কেলোগ্রাফি। যা তিনি নিজ হাতেই তৈরি করেছেন। শেষ রাতে যখন ঘুমে নিমজ্জিত সারা গ্রামের মানুষ তখন তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করে ফজর পর্যন্ত করেন এ কাজ। ধর্মের প্রতি মানুষের ভলোবাসা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে এমন অসাদ্য কাজকেও সাদ্য করতে পারে, যার অনন্য দৃষ্টান্ত এ আব্দুল হালিম।