০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ধানমন্ডিতে মব নিয়ন্ত্রণ করে পুরস্কার পেলেন সেই ওসি

সিবিসি নিউজ ডেস্ক।। 

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পেশাদারিত্ব ও ধৈর্য্য সহকারে মব নিয়ন্ত্রণ এর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতি স্বরূপ বুধবার (২১ মে) এই পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি।

এসময় ডিএমপি কমিশনার ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পরিস্থিতি বুঝে উত্তেজিত জনতা (মব) সামাল দেওয়ার এই দৃষ্টান্ত সকল পুলিশ সদস্যদের অনুকরণীয় মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে মধ্যরাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার ধানমন্ডির বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। এরপর ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমা সেখানে আসেন। এসময় তারা গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেন। মামলা না থাকায় ওসি গ্রেপ্তারে অপরাগতা প্রকাশ করলে ওই তিন নেতা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে।

এক পর্যায়ে প্রকাশনা সংস্থা হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার ধানমন্ডির বাসায় ঢোকার চেষ্টা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ওই তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (২০ মে) এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ থানায় গিয়ে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন।

মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈনু মারমা বলেন, একজন প্রকাশককে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে মবের চেষ্টা করা হয়। কিছু লোক জোর করে বাসায় প্রবেশের চেষ্টাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। পরে ওই ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে ওই প্রকাশককে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু ওই প্রকাশকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তারে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা খারাপ আচরণ করেন।

ওসি বলেন, তরুণদের গ্রেপ্তারের চাপাচাপিতে আমি বলি, সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা আছে, মামলা না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। আমি তাদের বিশৃঙ্খলা না করে চলে যেতে বললে তারা খারাপ আচরণ করেন। উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলা শুরু করেন।

পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 

জনপ্রিয়

নান্দাইল পুলিশের তৎপরতা এবং একটি ‘মিসটেক’

ধানমন্ডিতে মব নিয়ন্ত্রণ করে পুরস্কার পেলেন সেই ওসি

০৪:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সিবিসি নিউজ ডেস্ক।। 

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

পেশাদারিত্ব ও ধৈর্য্য সহকারে মব নিয়ন্ত্রণ এর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতি স্বরূপ বুধবার (২১ মে) এই পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি।

এসময় ডিএমপি কমিশনার ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পরিস্থিতি বুঝে উত্তেজিত জনতা (মব) সামাল দেওয়ার এই দৃষ্টান্ত সকল পুলিশ সদস্যদের অনুকরণীয় মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে মধ্যরাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার ধানমন্ডির বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। এরপর ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমা সেখানে আসেন। এসময় তারা গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেন। মামলা না থাকায় ওসি গ্রেপ্তারে অপরাগতা প্রকাশ করলে ওই তিন নেতা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে।

এক পর্যায়ে প্রকাশনা সংস্থা হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার ধানমন্ডির বাসায় ঢোকার চেষ্টা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ওই তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (২০ মে) এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ থানায় গিয়ে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন।

মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈনু মারমা বলেন, একজন প্রকাশককে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে মবের চেষ্টা করা হয়। কিছু লোক জোর করে বাসায় প্রবেশের চেষ্টাও করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। পরে ওই ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে ওই প্রকাশককে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু ওই প্রকাশকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তারে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা খারাপ আচরণ করেন।

ওসি বলেন, তরুণদের গ্রেপ্তারের চাপাচাপিতে আমি বলি, সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা আছে, মামলা না থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। আমি তাদের বিশৃঙ্খলা না করে চলে যেতে বললে তারা খারাপ আচরণ করেন। উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলা শুরু করেন।

পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।