০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

পৌরসভার সবখানেই সব চেয়ারে সেই একই চেহারা- আসিফ বাপ্পির স্ট্যাটাস

সিবিসি নিউজ রিপোর্ট ।।

জাতীয় যুবশক্তি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক আসিফ বাপ্পি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ফের তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন।
পৌর ব্যবস্থাপনা? নাকি পৌরবাসীর সাথে হঠকারিতা? পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

পৌর ব্যবস্থাপনা? নাকি পৌরবাসীর সাথে হঠকারিতা?

সবখানেই সব চেয়ারে সেই একই চেহারা! একই নাম! মনে রাখা উচিত যে, ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে মুছে দিতে আমাদের ভাই বোনরা রক্ত দিয়েছিল! পৌরশহরের পৌরবাসীর এত আকাল পড়েনি যে- নব্য ফ্যাসিবাদি স্টাব্লিশমেন্টের অযোগ্য প্রতিনিধিত্বের কলঙ্ক আমাদের আবার বহন করতে হবে!

সার্কুলেশন বা কোনো প্রচার/ বিজ্ঞাপ্তি/ নোটিশ / ডিক্লেয়ারেশন না দিয়ে তথ্য গোপনের সংস্কৃতিকে আবার চালু করে হাজার হাজার পৌরবাসির সাথে লুকোচুরি খেলে যে সিস্টেমকে চালু করতে চাচ্ছেন সে অপচেস্টা পৌর এলাকায় বসবাসরত সকল নাগরিকদের নাগরিক অধিকার থেকে বন্চিত করেছে।

আস

আমরা চাই একটি মানসম্মত পৌরশহর! যা বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ কম্পিটিটিভ হবে! পর্যটনশিল্পের সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাবে! বাসযোগ্য, প্রতিবেশ ও পরিবেশের টেকসই উন্নয়নমুখী একটি পৌর ব্যবস্থাপনা আমরা চেয়েছি! যেটি বিপ্লবের আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করে।
বন্চিত এ পৌর শহরকে বারবার লুটেরারা চুষে খেয়েছে। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী কোনো ফল আজ পর্যন্ত কোনো পৌরবাসীর ভাগ্যে জুটে নি।
পুরনো বন্দোবস্তের এই লুটেরাদের তখনও সুযোগ ও সমর্থন দিয়েছিল কিছু দুর্নীতিবাজ, লোভী, পদলেহনকারী কর্মকর্তা -কর্মচারীরা।

যেখানে অধিকাংশ পৌরবাসী আজ নতুন পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা চায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিরাট চ্যালেন্জকে সাথে নিয়ে দিন যাপন করছে, সুপেয় পানির নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে ঐ চেয়ারগুলোর দিকে, লাইসেন্স জট- অবৈধ মোটরযান সমস্যার সমাধানে যে পৌরবাসীরা রীতিমতো হতবাক, বিশ্বের তালিকাভূক্ত অন্যতম পর্যটন অন্চলে থাকা সত্বেও যারা নিজের বাড়ি,পথঘাট, আঙিনায় ময়লার স্তুপ দেখে সকাল শুরু করে, শ্রমবাজারে লটারির মতো দরপতনে যারা জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়াকে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মতো প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্তত তাদের সাথে এ লুকোচুরি করাটা চরম অন্যায়।

সবার প্রাপ্তি থাকে, সবার এক্সপেকটেশন থাকে,
সবার ব্যক্তিগত পছন্দ থাকে, কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ঘেষা এক শ্রেনির লোক তখনও ছিল এখনও আছে।তাদের এমন অস্বাভাবিক এক্সপেক্টেশন তখনও ছিল এখনও আছে। তবে কিছু আবদার ভারি অন্যায় আবদার।

স্বচ্ছতার জন্য যারা আজ অপেক্ষার প্রহর গুনছে। যারা একটি সুন্দর পৌরজীবনের আকাঙ্খা নিয়ে দিন যাপন করছে,অন্তত তাদের প্রতি এমন হঠকারিতা না করে দ্রুত শুধরে যান।

জনগনের পালস বুঝুন। জনগনের কাতারে আসুন। পদলেহনকারীদের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে, লোভকে লাভ না ভেবে, ভবিষ্যতের তদবিরি প্রমোশনের স্বপ্নকে দুরে ঠেলে পৌরবাসীর জন্য কাজ করুন। জনগন আপনাকে পুষ্প দিয়ে আপনার শেষ কর্মদিবসটিকে আপনার জীবনের সেরা মুহূর্ত করে রাখবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে!

নোট- নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার স্বপ্ন কক্সবাজার পৌরবাসীর।

জনপ্রিয়

মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অসদাচরণের বিষয়ে পুলিশের ‘দুঃখ প্রকাশ’

পৌরসভার সবখানেই সব চেয়ারে সেই একই চেহারা- আসিফ বাপ্পির স্ট্যাটাস

০৬:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

সিবিসি নিউজ রিপোর্ট ।।

জাতীয় যুবশক্তি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক আসিফ বাপ্পি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ফের তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন।
পৌর ব্যবস্থাপনা? নাকি পৌরবাসীর সাথে হঠকারিতা? পাঠকদের সুবিধার্থে নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

পৌর ব্যবস্থাপনা? নাকি পৌরবাসীর সাথে হঠকারিতা?

সবখানেই সব চেয়ারে সেই একই চেহারা! একই নাম! মনে রাখা উচিত যে, ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে মুছে দিতে আমাদের ভাই বোনরা রক্ত দিয়েছিল! পৌরশহরের পৌরবাসীর এত আকাল পড়েনি যে- নব্য ফ্যাসিবাদি স্টাব্লিশমেন্টের অযোগ্য প্রতিনিধিত্বের কলঙ্ক আমাদের আবার বহন করতে হবে!

সার্কুলেশন বা কোনো প্রচার/ বিজ্ঞাপ্তি/ নোটিশ / ডিক্লেয়ারেশন না দিয়ে তথ্য গোপনের সংস্কৃতিকে আবার চালু করে হাজার হাজার পৌরবাসির সাথে লুকোচুরি খেলে যে সিস্টেমকে চালু করতে চাচ্ছেন সে অপচেস্টা পৌর এলাকায় বসবাসরত সকল নাগরিকদের নাগরিক অধিকার থেকে বন্চিত করেছে।

আস

আমরা চাই একটি মানসম্মত পৌরশহর! যা বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ কম্পিটিটিভ হবে! পর্যটনশিল্পের সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাবে! বাসযোগ্য, প্রতিবেশ ও পরিবেশের টেকসই উন্নয়নমুখী একটি পৌর ব্যবস্থাপনা আমরা চেয়েছি! যেটি বিপ্লবের আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করে।
বন্চিত এ পৌর শহরকে বারবার লুটেরারা চুষে খেয়েছে। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী কোনো ফল আজ পর্যন্ত কোনো পৌরবাসীর ভাগ্যে জুটে নি।
পুরনো বন্দোবস্তের এই লুটেরাদের তখনও সুযোগ ও সমর্থন দিয়েছিল কিছু দুর্নীতিবাজ, লোভী, পদলেহনকারী কর্মকর্তা -কর্মচারীরা।

যেখানে অধিকাংশ পৌরবাসী আজ নতুন পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা চায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিরাট চ্যালেন্জকে সাথে নিয়ে দিন যাপন করছে, সুপেয় পানির নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছে ঐ চেয়ারগুলোর দিকে, লাইসেন্স জট- অবৈধ মোটরযান সমস্যার সমাধানে যে পৌরবাসীরা রীতিমতো হতবাক, বিশ্বের তালিকাভূক্ত অন্যতম পর্যটন অন্চলে থাকা সত্বেও যারা নিজের বাড়ি,পথঘাট, আঙিনায় ময়লার স্তুপ দেখে সকাল শুরু করে, শ্রমবাজারে লটারির মতো দরপতনে যারা জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়াকে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মতো প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্তত তাদের সাথে এ লুকোচুরি করাটা চরম অন্যায়।

সবার প্রাপ্তি থাকে, সবার এক্সপেকটেশন থাকে,
সবার ব্যক্তিগত পছন্দ থাকে, কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ঘেষা এক শ্রেনির লোক তখনও ছিল এখনও আছে।তাদের এমন অস্বাভাবিক এক্সপেক্টেশন তখনও ছিল এখনও আছে। তবে কিছু আবদার ভারি অন্যায় আবদার।

স্বচ্ছতার জন্য যারা আজ অপেক্ষার প্রহর গুনছে। যারা একটি সুন্দর পৌরজীবনের আকাঙ্খা নিয়ে দিন যাপন করছে,অন্তত তাদের প্রতি এমন হঠকারিতা না করে দ্রুত শুধরে যান।

জনগনের পালস বুঝুন। জনগনের কাতারে আসুন। পদলেহনকারীদের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে, লোভকে লাভ না ভেবে, ভবিষ্যতের তদবিরি প্রমোশনের স্বপ্নকে দুরে ঠেলে পৌরবাসীর জন্য কাজ করুন। জনগন আপনাকে পুষ্প দিয়ে আপনার শেষ কর্মদিবসটিকে আপনার জীবনের সেরা মুহূর্ত করে রাখবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে!

নোট- নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার স্বপ্ন কক্সবাজার পৌরবাসীর।